কখন এবং কিভাবে ভিজিয়ে কিশমিশ, বাদাম, কলা, ছোলা খেতে পারেন/কলা খাওয়ার নিয়ম?কলার উপকারিতা?কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা?কিশমিশ খাওয়ার নিয়ম? কাঁচা বাদাম খাওয়ার নিয়ম? খাওয়ার নিয়ম?কাঁচা বাদাম ভিজিয়ে রাখার উপকারিতা?কাঁচা ছোলা খাওয়ার নিয়ম?কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা ও ক্ষতি?

কখন এবং কিভাবে ভিজিয়ে কিশমিশ, বাদাম, কলা, ছোলা খেতে পারেন/কলা খাওয়ার নিয়ম?কলার উপকারিতা?কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা?কিশমিশ খাওয়ার নিয়ম? কাঁচা বাদাম খাওয়ার নিয়ম? খাওয়ার নিয়ম?কাঁচা বাদাম ভিজিয়ে রাখার উপকারিতা?কাঁচা ছোলা খাওয়ার নিয়ম?কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা ও ক্ষতি?

 কিশমিশ,বাদাম, কলা, ছোলা ভিজানো কখন এবং কিভাবে খেতে পারেন

কিশমিশ,বাদাম, কলা, ছোলা ভিজানো কখন এবং কিভাবে খেতে পারেন? 

লাইফস্টাইল ডেস্ক :- সব সময় সকাল শুরু করুন স্বাস্থ্যকর খাবার দিয়ে। কেউ সকালে কিশমিশ  খাওয়ার পরামর্শ দেন আবার কেউ বলেন খালি পেটে বাদাম বা কলা এবং  ছোলা খেতে। কিন্তু কোনটি ভালো বুঝবেন কিভাবে? ভারতের একজন পুষ্টিবিদ  সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। তিনি জানান সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানি দিয়ে শুরু করা উচিত। এতে কোন প্রকার ভেষজ যোগ করা উচিত নয়। তার পর কিশমিশ,বাদাম, কলা, ছোলা  খেতে পারেন?

যারা খালি পেটে কিশমিশ খেতে পারেন

 ভেজানো কালো কিশমিশ দিনের শুরুতে খেয়ে ফেলুন। ৭-৮ টি কিশমিশ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খান।যদি কম হিমোগ্লোবিন, পিএমএস, গ্যাস-ফোলাটিং, মুড সুইং-এর সমস্যা থাকে তবে খেয়াল রাখবেন কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা। কালো কিশমিশ ভিজিয়ে খাওয়া বেশি উপকারী। কিন্তু যদি না পাওয়া যায় তাহলে বাদামী কিশমিশও খাওয়া যেতে পারে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে কলা, বাদাম বা কিশমিশ যা খেতে পারেন

পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুম থেকে উঠে ১০থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে একটা কলা, বাদাম বা কিশমিশ খেতে হবে। তবে কারো সমস্যা থাকলে পুষ্টিবিদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন।

 সকালে খালি পেটে যারা কলা খেতে পারেন

বদহজম, গ্যাস, পেট ফুলে যাওয়া, খাবার খাওয়ার পর মুখে টক অনুভূত হওয়া, এমন হলে তারা সকালে একটি কলা খেয়ে দেখতে পারেন। তবে মনে রাখবেন কলা দেশি এবং তাজা হতে হবে।

 সকালে বাদাম খেতে পারেন যারা

ডায়াবেটিস এর সমস্যা থাকলে, চোখের সমস্যা, রুক্ষ ত্বক, এমন সমস্যায় ভুগলে তারা খালি পেটে বাদাম খেতে শুরু করতে পারেন। ৩-৪টি বাদাম সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরদির খোসা ছাড়িয়ে খান।

 বাদাম ভিজিয়ে খাবেন কেন

বাদাম ভিজিয়ে রাখলে পুষ্টি সহজ হয় এবং এতে থাকা ফাইটিক অ্যাসিড কম হয়। এই অ্যাসিড জিঙ্ক এবং অন্যান্য পুষ্টির শোষণে বাধা দেয়। এছাড়া পুষ্টিবিদদের মতে আপনি ভেজানো কিশমিশ এর পানি খেতে পারবেন কিন্তু ভিজিয়ে রাখা বাদামের পানি পান করা উচিত নয়।

ছোলা ভিজিয়ে  খেতে পারেন উপকারিতা 

এটি মলিবেডনাম এবং ম্যাঙ্গানিজ এর চমৎকার উৎস। ছোলাতে প্রচুর পরিমাণে ফলেট এবং খাদ্য আঁশ আছে সেই সাথে আছে আমিষ, ট্রিপট্যোফান, কপার, ফসফরাস এবং আয়রন। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে : অস্ট্রেলিয়ান গবেষকরা দেখিয়েছেন যে খাবারে ছোলা যুক্ত করলে টোটাল কোলেস্টেরল এবং খারাপ কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কমে যায়।তবে রাতের ভিজানো কাঁচা সকালে  খেতে হবে। 

1.কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা?

ছোলা খেলে দেহের বিভিন্ন ব্যথা দূর হয়। প্রতিদিন সকালে কাঁচা ছোলা খাওয়ার বেশ উপকারিতা রয়েছে। এই ডালে রয়েছে উচ্চ আঁশ; তাই এটি ডাল হিসেবে অনেক উন্নত। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ছোলা খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা খুব ধীরে ধীরে বাড়লে এবং ছোলার আঁশ রক্তে উপস্থিত গ্লুকোজের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

2.কাঁচা ছোলা খাওয়ার নিয়ম?

কাঁচা ছোলার খাওয়ার সঠিক নিয়ম হচ্ছে সকালে খালি পেটে খাওয়া। আগের রাতে এক মুঠো বা ২৫-৩০ গ্রাম পরিমাণ ছোলা ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার জলে ভিজিয়ে রাখবেন। সকালে সেই ছোলা খাবেন। এতে সারাদিনের জন্য এনার্জি পাবেন।

3.কাচা বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা?

 বাদামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ফাইটিক অ্যাসিড শরীরে আয়রন, জিঙ্কের সঙ্গে বিক্রিয়ায় যে লবন তৈরি করে,তা খাদ্যনালীতে দ্রবীভূত হয় না। এই ফাইটিক অ্যাসিড শরীরে পেপসিন, ট্রিপসিন উৎসেচকের পরিমাণ কমিয়ে প্রোটিন পরিপাকেও বাধা দেয়। পানিতে ভিজিয়ে রাখলে বাদামের ফাইটিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমে।

4.কাচা বাদাম খাওয়ার নিয়ম?খাওয়ার নিয়ম?

এটি কাঁচা কিংবা ভিজিয়ে রেখে দুই ভাবেই খাওয়া যায়। তবে ভিজিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায় বলে অনেক পুষ্টিবিদ মনে করেন। কারণ, সারা রাত ভিজিয়ে রাখার ফলে এর মধ্যে কিছু এনজাইম সক্রিয় হয়ে যা হজমে সাহায্য করে। তবে ভিজিয়ে বা কাঁচা যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন তা অবশ্যই সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিৎ।

5.কিশমিশ খাওয়ার নিয়ম ?

১০০ গ্রাম কিশমিশ ভালো করে ধুয়ে এক গ্লাস পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানি ছেঁকে খালি পেটে খেয়ে নিন। ভালো ফল পেতে ছাঁকা পানি খানিকটা গরম করেও খেতে পারেন। তবে এই পানীয়র পর আধ ঘণ্টা আর কিছু খাবেন না।

6.কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা?

কিশমিশ হাড় সুস্থ রাখে। হাড়ের এই রোগ প্রতিরোধ করতে বোরন নামের খনিজ পদার্থ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর কিশমিশ বোরনের অন্যতম উৎস। বোরনে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম - যা হাড় গঠনের পাশাপাশি শরীরে টেসটোসটেরন এবং ইস্ট্রোজেনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

7.কলা  উপকারিতা?

এছাড়াও পাকা হলুদ কলায় প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি শরীরের নানা উপকার করে। পানির চাহিদা পূরণে কলা: আগের রাতে বেশি তেল মসলাদার খাবার খাওয়া হলে পরের দিনও তার একটা প্রভাব থেকে যায়। কলা পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া কলা, মধু দিয়ে তৈরি স্মুদি স্নায়ুর উত্তেজনা কমায়।

8.কলা  খাওয়ার নিয়ম ?

পেটে কি কলা খাওয়া যায়: খালি পেটে কলা খেতে নিষেধ করা হয়। কারণ অ্যাসিড রিফ্লাক্স বাড়তে পারে এবং ভিটামিন সি থাকার কারণে হাইপার অ্যাসিডিটি হতে পারে। এছাড়াও, এই ফলের মধ্যে পটাসিয়ামের উপস্থিতি উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। সকাল বা বিকেলে জলখাবারে কলা খাওয়ার সেরা সময়।

 

আরও যানার জন্য এখানে ইস্পর্শ করুন