JAGATPATI BAURI ACHRA
আমার জীবনের সব গল্প এখানেই পাবে যেদিন আমার জন্ম হয়েছিল: আজ আমি খুব খুশি কারণ আমি নিজের উপর একটি আত্মজীবনী লিখতে পেরেছি। আমি সবসময় এটি লিখতে চেয়েছিলাম।
আমার বিয়ে হয় ঝারখান্ড মেহজাম গ্রামে মালপাড়া আমার বিয়ে হয় করুনা কবি লকডাউনের সময় দুই হাজার কুড়ি সালে আমার স্ত্রীর নাম মিঠু দাস কিন্তু আমার মা নাম দিয়েছে, কল্পনা আমার বউ খুব ভালো আমার সব কথা শুনে কিন্তু মায়ের সাথে মাঝে মাঝে ঝগড়া হয় মা তিন দিন রাগ করে না কথা বলে থাকে আবার দুদিন পর আবার সেই ঠিক হয়ে যায়,
আমার বাবার নিজের ঘরের গল্প
আমার বাবারা দু ভাই তিন বোন বাবার ভাই যে আমার কাকু,কাকার নাম প্রেম কুমার বাউরী কাকির নাম রিনা বাউরী কাকার দুটো ছেলে একটা মেয়ে বড় ছেলের নাম অভিজিৎ,ছোট ছেলের নাম শুভম বোনের নাম প্রিয়াঙ্কা তারা সবাই পড়াশোনা করে তারা সবাই ভাল তারা থাকে লালগঞ্জ এরিয়া অফিসের কোয়ার্টারে কাকু acl কোলিয়ারিতে চাকরি করে আমরা কোন পূজার পাসাতেই যাই কাকুর বাড়ি আর রাস্তায় কোথাও যদি যাই তবে কাকুর বাড়ির দিকে ঢুকে যাই রাত্রে খুব কমই থাকি, সবাই খুব ভালোএই ছিল আমার কাকু কাকি!
এবার পিসি গুলো তিনজন বড় পিসির নাম ঠান্ডা বাউড়ি পিশার নাম কেটা,পিসি দুটো ছেলে একটি মেয়ে বড় ছেলের নাম রাকেশ ছোট ছেলের নাম বিকাশ মেয়ের নাম আলো
মেজ পিসির নাম বারু পিশার নাম অজিত মেজ পিসির দুটো ছেলে একটা মেয়ে বড় ছেলের নাম রামকৃষ্ণ মেয়ের নাম ললিতা তারা বারানপুর দিঘারই গ্রামে থাকে
আমরা মেজ পিসির বাড়ি খুব কম যাওয়া হয় কারণ ওদের কোন বিয়া সাদি হলেই আমরা যাই তাছাড়া যায় না আমাদের বাড়ি আসে একমাত্র কালীপূজা ভাইফোঁটার সময় আমার তিনটা পিসি এক সঙ্গেই আসে বাবাকে ভাই ফোটাদেয়ার পর খাওয়া দাওয়া করে সকালে দিকে আসে বিকালের দিকে চলে যায়
আমার সব থেকে ছোট পিসি তার নাম গয়রি তার একটা ছেলে ছয়টো পিসি সাথে বাবার এতটা মেইল নেই আর আমাদের বাড়ি খুব কমে আছে।বাবাও যায় না ছোট পিসির বাড়ি আমরা তো কোনদিন যাইনি আমরা শুনেছি যে বারানপুরের মলের সামনে থাকে আমার বিয়ের সময় খুব কম দেখা হয় ছোট পিসির সাথে কিন্তু খুব ভালো আমাদের শুনেছিলাম আমাকে ছোট পিসি বেশি রাখত সে নাকি নিজের সাথে আমাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখতো আমাকে অনেক ভালবাসে সেটা শুনেছি বাবার মুখে মায়ের কাছে ,এখন বড় হয়েছি আমাদের সাথে ভালোভাবে কথা তবে পিসি আমাদের বাড়ি আসতে চায় না কেন জানিনা গৈরী পিসি জানিনা বাবার সাথে কি হয়েছে ?
লালগঞ্জের দুর্গাপূজায় আমরা গেলে সবার সাথেই দেখা হয়। সব পিসি গুলোই থাকে কিন্তু সবাই পূজার মধ্যে থাকে কেউ কাউকে কথা বলে না। আমরাও কথা বলি না
পুজো শেষ হওয়ার পর সবাই আপন আপন বাড়ি চলে যায় সেটা আমার খুবই খারাপ লাগে ২০১৯ এর দুর্গাপূজার সময় আমি আমার বউ আর বাবা প্রদীপআমার ভাই আমরা টোটো র হিসাব করে লালগঞ্জের দুর্গা পুজোতে গিয়েছিলাম সেখানে পিসির সঙ্গে দেখা হয় আমার বড় পিসির ছোট ছেলে বিকাশ যে আমার ভাই তাকে দেখতে পাই আমরা মন্দির প্রণাম করে পড়ে বের হবার রাস্তায় সে আমাকে দেখে দাঁড়িয়ে যায় আর বলে, কে কে এসেছি আমি বলি আমি প্রদীপ বাবা-আর তোর বৌদি ও বলে ঘরের দিকে যাবি নাই চ আমি বললাম হ্যাঁ যাবো ছোট পিসির বেটা মেজো পিসির ভিডির মেয়ে বড় পিসির বড় ছেলের দুটো মেয়ে তাদের সঙ্গে বিকাশ ছিল তারা সবাই আমার সঙ্গে কথা বলল আমি ওদেরকে বললাম তোর মায়েরা কোথায় আছে রে কেমন আছে সবাই বলে এখানেই আছে।
পূজো দেখতে হবে তারপর রাস্তার দিকে রাস্তার মধ্যেই টোটো বালাকে ডাকতে যায় দেখা হয় বাইক নিয়ে কাকা মন্দিরের দিকে আছে কাকা আমাদেরকে দেখে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে বলে ঘর দিকেচ আই আমি বললাম হাঁ যাবো কাকা চলে গেল আমরা রেজা টোটোতে এসেছিলাম তাই টাইম বেশি ছিল না বললাম চলো কাকাদের ঘর থেকে ঘুরে আসি টোটো বালা জগা আমাদের আছড়া গ্রামের এই লোক সে বলে বেশি লেট করিস না ঠিক আছে আমি বললাম হ্যাঁ, আমরা কাকু দের কোয়াটারে গেলাম আমরা উপোস করেছিলাম চা জল দিলো তারপর কাকি বলল খাবার খেয়ে যা আমার বউ কাকিকে বলল আমরা তো খেতে পাবো না গো কাকি বলে আমাদেরও নিরামিষ ঘুগনি আর লুচি করেছি
ভগিনী লুচি আর মিষ্টি খেলাম তারপর ঘরের ব্যাপারে অন্যরকমের গল্প হল তারপর বাড়ির দিকে রওনা দিলাম!
আমার বাবারা থাকতো লালগঞ্জ দুর্গা মন্দিরের অপজিটে বাউরী পাড়াতে সেখানে থাকতো তাদের একটা বড় মাটির ঘর ছিল এখন ২০২২ এ অবশ্য নেই সেই বাড়িটা ওদের পিসিরা মাসি ওদের ছেলেরা দখল করে নিল ঘরটা আমরা চলে এলাম আছড়াই মাটির ঘরটাতে অনেকদিন ধরেই বাবারা থাকতো আমার বাবার বাবা যে দাদু তার নাম ছিল পরিতোষ আমার যে ঠাকুমা তার নাম জ্ঞানী দাদুকর তো দেখিনি ফটো তো দেখেছি বাবার কাছে শুনেছি, বাবার বাবা সেনেটারি অফিসার ছিল বাবাদেরকে চার মাস তিন মাসের খাবার কিনে চলে যেতো ডিউটি করতে শুনেছি নাকি অনেকদিন পর পর আসতো একবার তো অনেক দিন পর এসেছিল তারপর এক বছরের পর আস্ত ঘর একবারতো চার বছর পেরিয়ে গেল আসেনি তখন বাবারা মনে করল যে আর তো নেই মনে হয় মারা গেছে তারপর বাবা বলে যে বাবার ছটো থেকে অনেক কষ্ট মুখে আগাতে হয় আমার বাবারা অনেক কষ্ট করেছে তা আর বলছি না কারণ বাবাকে আমি এত জিজ্ঞাসা করিনি !
শুনেছিলাম আমি যখন ছোট ছিলাম আমার যে ঠাকুরমা সে নাকি আমাকে সকাল বেলায় রোজ কচুরি খাওয়াতে মিষ্টির দোকান নিয়ে যেত আমি নাকি সকালে উঠে আমার ঠাকুমার পেছন ছাড়তাম নাই ঘুমাই উঠে আমি ঠাকুমার মার সঙ্গে
আমাদের লালগঞ্জের দিঘির রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে ঠাকুমার হাত ধরে রোজ চলে যেতাম কচুরি খেতে এই জিনিসটা আমার হালকা হালকা মনে হয় কিন্তু ঠাকুমা কখন মারা গেছে সেটা আমার কোনদিন এই মনে পরেনা
কিন্তু ঠাকুমার এক দুটো হঠাৎ করে সকালবেলায় স্বপ্ন দেখতে পাই খুব আমারমন খারাপ হয়!
আমাদের লালগঞ্জ ছাড়া হয় কেন ?
আমার পাঁচ বছর বয়স আর আমার বোন তিন বছর প্রদীপ আমার ভাই তখন হয়নি লালগঞ্জে আমরা দু ভাই বোনই ছোটবেলায় থেকে ছিলাম মা বলে শুনেছে আমাদের যে বাবার বড় মাটির ঘর ছিল সেই ঘরে নাকি অনেকজন থাকতো আমরা বড় হতে হতে আমার ঠাকুরমা রোজ বিকেলবেলায় মদ খেত আর ভাদু গান করে বেড়াতো বাবা লালগঞ্জের হাটে গরু কেনাবেচা করতো ভালো রকম পয়সা কামাতে কিন্তু একটা অসুবিধা হতো যেই দিনগুলো নেবে সে লাভ হতো সেই দিনগুলো নিয়ে মদ খেয়েলি তো বাবার গরু কেনাবেচার গল্পটা বাবা আমাকে বলে শুনিয়েছে আমাকে এক দুবার হার্ট দেখিয়ে নিয়ে এসেছে আমি নিজের চোখেই দেখেছিলাম লালগঞ্জের হাতটা পড়ে লালগঞ্জের বড়দিঘির আগে যে বড়মারটা সেখানে হাট পড়ে!যারা যারা ধান চাষ করে সেখানে ধানক্ষেতে হাল বাইবার জন্য বড় বড় গরু কিনতে যায় তখনহাটে এসে পড়ে গরু কিনার জন্য আমার বাবাদের কাছে যোগাযোগ করত যে ভালো গরু আমাদেরকে কিনে দাও বাবারা তখন গোটা হাত ঘুরে এসে ওই লোকটাকে বলতো একদিকে দাঁড়িয়ে থাকো বাবা ভালো ভালো গরু বেচে কম দাম যেমন ১০০০০ টাকা একটা গরু যার গরু তাকে বলতো ৮ হাজার দেবো গরু টাকে,গরু বালা বলতো ঠিক আছে তুমি তাই নিয়ে যাও বাবা গরুটাকে নিয়ে যায়ে বাবা বিক্রি করেদিতো আর লাভ করত ২০০০ টাকাআর বিকাল বেলায়ঘর আসতোযখন বেশি লাভ হতো তখন বিকেল বেলায় মদ খেয়ে নিত মদ খেয়ে পরে ঘরে আসতো আমার মা ভাত রান্না করে আমাকে নিয়ে ভাইকে নিয়ে বোনকে নিয়ে একসঙ্গে শুয়ে থাকতো কোন কোনদিন বাবা কারো সঙ্গে ঝগড়া লেগে আসতো বাবার মা যখন দোকানে সাজা করতে যেত তখন শুনছি পেত যে কার সঙ্গে ঝগড়া করেছে মা ঘরে এসে বাবাকে বলতো বাবাকে কেনো ঝগড়া করেছ তখন বাবা আমাকে মারতো ,মাকে বললে তোমার কে বলেছে মা বলছে দোকানের সমান আনতে যে শুনতে পেয়েছি তখন বাবা বলে তোকে আজ থেকে আর সমানে আনতে হবে না দোকানের সামান বাবা বলে কিনে এনে দেব বাবা এক মাসের সমান একেবারে কিনে দিয়েছিল চাল ৬.০০ টা সব
আমার প্রায় বয়স 8 বছর এখান থেকে স্টার্ট করছি আমি আমার লাইফ কাহানি]সো প্লিজ কেউ মাইন্ড করো না ,আমার অনেক দিনের শখ ছিল যে আমার লাইফ হিস্টোরি টা কেউ লিখুক কিন্তু লেখার মতন তো কেউ নেই তাই আজ আমি নিজেই লিখতে শুরু করলাম ।আট বছর বয়স আমার তখন সাল ছিল 2003 আমি আমাদের গ্রামের স্কুলে পড়তাম আমাদের গ্রামের স্কুলের নাম ছিল আছাড়া নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয় , 3 .থ্রি ক্লাসে পড়তাম, আমার ঘর থেকে সামনেই দু পা হাঁটলেই স্কুল কিন্তু তাও আমরা রোজ স্কুলে যেতাম না একদিন স্কুল যেতাম তো দুদিন কামাই করতামকামাই এর দিন গুলো নিয়ে শুধু খেলা করতাম,যেমন খেলা গুলোর নাম ছিল আমাদের তখনকার(ম্যাচ বক্সের ছবি) গুলো কেটে কেটে আমরা একসঙ্গে রাখতাম আর সমস্ত আলাদা আলাদা রকমের ম্যাচ বক্সের ছবি থাকতো সেই ছবিগুলো সেইগুলো নিয়ে আমার পাড়া থেকে অন্যদের পড়া যেতাম যেমন আমাদের সামনে ছিল (মুচিপাড়া ও সাঁওতালি পাড়া বাউরী পাড়া) সব পাড়ায় এই ম্যাচ বক্স ছবি খেলা হতো এই খেলাতে দুজন অংশগ্রহণ করতেন যেমন কি এই আমি জগত পতি অন্য কেউ খেলতে সেমল প্রথম আমাকে মাচবক্স ফেলতে হতো আমি ফেলতাম তারা চিহ্ন তবে ওর ফেলত ঘোড়া ছবি তার তো আমি ফুটবল ও নিমকি চিনো যখন ওফলত তো ঘোড়া আর আমি ফেলে দিতাম ঘোড়া তখন আমি জিতে যেতাম এই ছিল আমাদের ম্যাচ বক্সের খেলা,আরেকটি খেলা ছিলো গুলি খেলা,ডাবল খেলা, ডাবল খেলা হচ্ছে একটা গোল মতন বড় ঘর করতাম আর তিন পা দূরে একটা দাগ দিতাম আর আলাদা করে হাতে একটা গোল পাথর থাকতো অনেক জন অংশগ্রহণ করতাম, খেলাতে সবাই মিলেএকটা করে মিলাতাম যেমন তার জন্য 5 টাকা আর সবার প্রথম যে খেলত সে পাঁচ টাকা নিয়ে ওই দূরে দাগ থেকে গোল ঘরের মধ্যে ছুরত তারপর আমাদের কে জিজ্ঞেস করত কন্ঠ মারব বল কিন্তু আমরা একটা বলতাম যে এটাতবে ওই ওই টাকে মেরে রুম থেকে বের করতে হবে রুম থেকে বের করলেই তার পয়সা হয়ে যাবে এই ছিল আমাদের ডাবলু খেলা!আর গুলি খেলতে সবাই জানে তাই আর এই খেলাটা বললাম না।আমার স্কুলের গ্যাপ করা দিনগুলো এই খেলা তেই চলে যেতে,সেই সময়গুলো খেলাতে নষ্ট করেছিএক দিন স্কুল যেতাম সকাল বেলায় চান তান করে শুধু মুখ ধুয়ে চাঁ আর নাড়ু বিস্কুট দুটো খেতাম, তখন এক টাকা চরটা নাড়ু বিস্কুট বদিত,সেই খেয়ে স্কুলে যেতাম দশটার সময় যেতাম দিদিমণি আসতো না তারা সাড়ে 10 টায় আসতো, আমাকে দিদিমণি বল তো চাবি এনে সব স্কুলের গেট খুলে দিবি স্কুলে চাবি রাখার থাকতো স্কুলের পেছনে কোয়াটারে ঘরে উজ্জ্বল মামু বলে থাকতে , ওর বাবার কাছে চাবিথাকতো চাবি নিয়ে এসে স্কুল খুললে দিতাম, স্কুল খোলার আগেই সবাই ঝাড়ু মার তাম নিজের নিজের ক্লাস আর জানলা খুলতাম আমি সবার সামনেই বসতাম কিন্তু পড়াশোনা করতাম না শুধু বসে থাকতাম এদিকে ওদিকে দেখে বেড়াতাম ,কোন কোন সময় বোর্ডের দিবো দেখার দেখতাম আর পড়া এক দুবার শুনতাম কিন্তু অন্যদের ছেলের মত আমি পড়া পারতাম না, কারণ তারা সবাই টিউশনি পড়তো আমি পড়তাম না , কারণ আমাদের খুবই সময় খারাপ গরীব ছিলেন , তখন আমার বাবা মারা কাজ করতো ক্লিয়ারি ডাস্ট কয়লা পাথর ফেলত সেগুলো কুড়াতো পাহাড়ের ধারে বাবা-মা ডাম্পিং কয়লা
আমার গ্রিলের কাজ ।
আমি উজ্জ্বল মামু কাছে বসে ছিলাম , মামুর দোকানের পাশেই একটা গ্রিল দোকান ছিল সেই দোকান টাতে একটা মিস্ত্রি কাজ করত তার নাম ছিল কিসন তার সাথে আমার ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেছিল আমি ওকে বলতাম আমাকে গ্রিলে কাজ শেখাবে ও বলতো না রে আমার এখানে ছেলে লাগবে না আমি বলতাম যদি লাগে তো বলবি সে বলতো ঠিক আছে জানাবো তোকে। দু চারদিন পরে সে আমাকে বলল ডাবর মোড় এর কাছে কাজ করবি আমি বললাম হ্যাঁ করব আমি মালিকের সঙ্গে কথা বললাম আমাকে বলল 80 টাকা পয়সা দেব ।আমি তাতে রাজি হয়ে গেলাম ওই ফ্যাক্টরিতে দুটো মিস্ত্রি ছিল একটা ব্যাপার ছিল মিস্ত্রির দুইজন বাড়ি ছিল নিয়ামতপুর তারা কাজে আস্ত 08:30 সময়। আমাকে যেতে হতো জলদি 7 টা সময় আমি ঘর থেকে সাইকেল নিয়ে যেতাম খাবার খেতাম শুধু রুটি আলু ভাজা সেই খাবার খেয়ে চলে যেতাম ফ্যাক্টরি চাবি থাকতো পাশের দোকানে তার কাছে চাবি নিয়ে দোকানটা খুলতাম খোলার পর ঝাড়ু মার তাম । হাতুড়ি হাম্বল যোগান এসব গুলো পচুর ভারি
হতো যন্ত্রপাতি গুলো বের করে রাখতে হত নিজের নিজের জায়গায় । তারপর মিস্ত্রি গুলো আসত মালিক আসতো একটা লেবারটা আসতো আমাকে বলতো বাবা হেভি তো ঝাড়ু মেরেছিস তারপর বলতো যা কচুরি খেয়ে নে গান সেন্টসুইট যেতাম আমি একাই কুড়ি টাকা কচরি খেতাম কখন কখন দিতো খুব ভালোবাসতো আর আমিও ওদের কথা সুনতাম , আর আমার কাজ ছিলো হেলপার আমাকে এক থেকে দুই সপতাহ সেই রকম কাজ করতে হতনা সুদু ওরা যা বলতো সেই গুলো করতাম ওই খানে
গিরিলের জানালা ,দরজা , সাটার ,ডিযাইন
ডিযাইন জানালা বানাতো আর আমি সেই দরজা জানালা গুলোর যনো লুহার পাতলা পাতলা বার গুলো ছেনি ধরত মিসত্রী আর আম চারকেজি হামবল দিয়ে মিসত্রী ধরা ছেনিটার উপর জরে জরে মার তাম আর ওই লুহার পাতি কখনো কখনো অনেক রকম হতো তাও আমি হাম বলে করে মারতাম প্রাই সকাল ন'টা থেকে 11 টা পর্যন্ত কাটাকুটি হত তারপর আমাকে কখনো এস ডিজাইন ভি ডিজাইন হাতুড়িতে করে মেরে মেরে ডিজাইন গুলো আমাকে শিখা তো মিস্ত্রী তারপর আমি ওইগুলো ডিজাইন বানাতে থাকি আর মিস্ত্রিরা ওলডিং করতে থাকে যখন জানলা দরজা গ্রিলের কপাট এই সকল সবগুলো বানানো হয়ে যেত তখন আমাদেরকে পার্টির সঙ্গে ওদের বাড়ি নিয়ে যেতে হতো একবার রূপনগরে শাটার লাগাতে গিয়েছিলাম তখন প্রচুর কষ্ট হয়েছিল এক্সাইডে আর দু সাইডে স্প্রিং থাকে সাটারের গায়ে সেইগুলো যাদের থাকত তাদের বাড়িতে স্প্রিং টাইট করে আসতে হতো ঘর বেশ এই রকমই কাজ চলতে থাকে খুব কষ্টের মধ্যে তবুও আমি সকালবেলায় কোন দিন না খেয়ে সাইকেলে করে আমি যেতাম কাজে প্রায় এক থেকে তিন মাস আমি কাজ করলাম গ্রিলে তারপর আমার মাধ্যমিক পরীক্ষায় এলো সেই মাসে মাজে কাজ বন্ধ করে করলাম
আমি আর গ্রিল কাজ করিনা ছেড়ে দিলাম স্কুলে পড়ি খুবমন লাগাই !
ছাড়তে হয়
এইভাবে আমার গিরিলের কাজটা শেষ হয়ে গেল
মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্যই আমির গ্রিল কাজটা ছাড়তে হয় !
Comments
Post a Comment