একটি বুদ্ধিমান শিয়ালের ও বকা বাঘের গল্প , একটি শিয়ালের ও বাঘের গল্প ,শিয়ালের গল্প,বাঘের গল্প,একটা শিয়াল বাঘের গল্প হাসি,
একটি বুদ্ধিমান শিয়ালের ও বকা বাঘের গল্প ,একটি শিয়ালের ও বাঘের গল্প ,শিয়ালের গল্প,বাঘের গল্প,একটা শিয়াল বাঘের গল্প হাসি,
একটি বুদ্ধিমান শিয়ালের ও বকা বাঘের গল্প
(নিজের ভাষায় লেখা)
শিয়াল খুব বুদ্ধিমান ছিল বাঘ বনের রাজা বাঘ বনে থাকতো শিয়াল বনে মাঝে মাঝে যেত শেয়াল নিজের খাবার জোগাড় করতে !শিয়াল গ্রামের দিকে নিজের খাবারের জগারের জন্য গ্রামের মুরগির হাঁস সব ধরে খেতো বাঘ বনে নিজের খাবার জোগাড় করতে পারত না কারণ তার অনেক বয়স হয়েছিল।
শিয়াল মাঝে মাঝে একবার করে বাঘ মামার কাছে দেখা করতে যেত একদিন, শিয়াল মামার কাছে দেখা করতে গিয়ে ছিলো বাঘ মামা কেমন আছেন বাঘ বলে ভাইগ্না মন মতলব ভালো নেয় রে শিয়াল বলে কেন গো কি আবার হল তোমার,বাঘ মামা বল্ল আর শিকার করতে পারি না বয়স হয়েছে ভাগ্নে দৌড়াদৌড়ি করতে আমার আর পারা যাচ্ছে না ,
ভাগিনা তুমি তো বেশ চাঙ্গা হয়ে গেছো তুমি এখন কোথায় থাকো ,শেয়াল বলে মাম সে আর কি বলবো আমার শিকার ধরতে খুব সহজ বাঘ মামা বলে কেমন করে ধরো শিয়াল ভাগনা বলল জঙ্গলে পাশে যে আছাড়া গ্রামটা আছে সেখানে আমি হাঁস মুরগি ধরি হাঁস মুরগির মাংস খাই রোজ একটা করে! মামা আমার দিনটা খুব ভালই ভালোভাবে যাচ্ছে,তখন বাঘ মামা বলে ভাগনা আমাকে নিয়ে চলো!
শিয়াল বলে ঠিক আছে মামা আগের সপ্তাহে তোমাকে নিয়ে যাব।
শেয়াল এই বলে আছড়া গ্রামের দিকে রওনা দিল, জঙ্গল থেকে যেতে যেতে রাত হয়ে গেল,শেয়াল রাত্রে বেলায় গেরামে ধানক্ষেতের বাড়িতে পোয়াল তলায় লুকিয়ে থাকলো!
দিনের বেলায় দুপুর বেলা যখন গ্রামের মানুষজন ঘুমিয়ে যেত তখন সে ওখান থেকে বেরিয়ে মুরগি হাস ধরে তাদের মাংস খেত আর সে লুকিয়ে থাকতো সে ছোট ছিল বলেই খুব সুন্দরভাবে পোয়ালে তলায় লুকিয়ে থাকতো, দিনের বেলায় এক দুবার তাকে দেখতে পেত গ্রামের লোকজন তারা শিয়াল মনে করে কোন মাথায় খারাপ চিন্তা রাখত না !
একটা একটা করে প্রায় গ্রামের হাঁস মুরগি সব শেষ হতে চলেছিল,গেরামের প্রধান মনে করছিল পাশের লোকজন পাশের ঘরের মুরগি খেয়ে নিচ্ছে কখনো কখনো তো মুরগি হাঁস কমে যাওয়ার জন্য গ্রামের লোকজনের ঘরে ঘরে ঝগড়া হতো
গ্রামের প্রধান সঙ্গে মিটিং ও হত গ্রামের লোকরা চিন্তা করছিল কি করে মরগি হাসগুলো কমে যাচ্ছে সেই আলোচনা শুনে পাই শিয়াল মনে মনে চিন্তা করলো আমার তো আর গ্রামে থাকা চলবে না,তখন সে মনে করলো জঙ্গলের দিকে থাকবো কিন্তু একটা সমস্যা বাঘ মামা আমাকে তো জঙ্গলে থাকতেই দেবে না সে আমাকে ধমক চমক দিয়ে বলবে শিকার করে নিয়ে আয় আমাকে দে না হলে তোকে খাব,তখন মনে মনে একটা শিয়াল বুদ্ধি খাটালো জঙ্গল থেকে মামাকে তাড়াবার একটাই উপায় আছে মামাকে কালকে গ্রামে নিয়ে আসবো !
সে তখন গ্রামে থেকে জঙ্গলের দিকে চলে গেল মামার সাথে গল্প করতে মামা মামা চলো আজকে তোমাকে শিকার ধরাতে শেখাবো মামা বলল চলো এখনই যাব
শেয়াল সন্ধ্যা বেলায় মামাকে লুকিয়ে লুকিয়ে নিয়ে গেল আর সন্ধ্যা বেলায় মুরগি একটা ধরে মামাকে খেতে দিল বাঘমামা মনের আনন্দে মুরগি হাঁসের মাংস খেলো! তারপর মামা বলল ভাগনা তুমি কোথায় থাকো শেয়াল বলল আমি ওই ধানের পোয়ালের তলায় থাকি মামাকে নিয়ে গেল তারপর পোয়ালর তলায় ঢুকিয়ে দিল বল্ল মামা তুমি আজ থাকো আমি আমার আর একটা শিয়াল বন্ধুকে নিয়ে আসব মামা মনে মনে করলো বাহ বেশ সে তো থাকবে না আমি আজ ভালই সিকার করব সকাল হলে ,সকালে হলো তখন বাঘ মামা দেখতে পায় কোথাও কিছু নেই একটাও শিকারের দেখা পায়নি
কারণ সব মুরগির হাঁসগুলো প্রায় শেষ হয়ে গেছে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত থাকলাম আড়াইটার রোদের গরমে বাঘ বেরিয়ে আসে গরমের জ্বালায় গ্রামের একটা লোক বাঘ মামাকে দেখা পায় সে লুকিয়ে লুকিয়ে গ্রামএর লোকেজান কে সবাইকে জানালো গ্রামের প্রধান মহাশয় সবাইকে আদেশ দিল সভায় প্রস্তুত হলো গ্রামের লোক,গ্রামের প্রধান মহাশাই বল্ল এর জন্যই আমাদের গ্রামের সকলের লোকের ঘরে ঘরে ঝগড়া হচ্ছিল এই বাঘের জন্য আমাদের হাঁস মুরগি একটাও চিহ্ন রাখল,যখন এই বাঘ বদমাশটা এই ধরনের খারাপ কাজগুলো করছে তাকে মেরে ফেলাই দরকার কাল দিন গ্রামের মানুষজনকে খেয়ে দেবে গ্রামের সবাই মিলে বলল তাই করা যাক!
গ্রামএর মুখিয়া বলল জাল নিয়ে সবাই গ্রামের লোক মিলে ঘেরা করো বাঘটাকে সেই সময় শিয়াল জঙ্গলের দিক থেকে একবার বাঘ মামার খবর নিতে এসেছিল ,সে লুকিয়ে ছিল গাছের আড়ে ,গ্রামের লোকেরা হাই-হুল্লা করে সবাই এসো সবাই এসো বাঘ এই ধানের পোয়ালএর তলায় আছে !
গ্রামের সব লোকেরা হাতে অস্ত্র নিয়ে মশারি নিয়ে যাল নিয়ে বাঘকে বের করার অপেক্ষায় ছিল বাঘ কোনমতে পোয়াল তোলা থেকে বেরোই না।গ্রামের প্রধান বলে পোয়াল এর মধ্যে আগুন লাগিয়ে দাও বাঘ মামা তখন ঘুমিয়ে যায় সে কোন কিছুই বুঝতে পারে না বাইরের আবহাওয়া বাইরে কি ঘটছে সেটা হাদিসও পায় না,
আগুন লাগানোর পর প্রচুর আগুন বেড়ে যায় শিয়াল তখন লুকিয়ে লুকিয়ে সব কান্ড গুলো দেখে আর বাঘ মামার সঙ্গে কথা বলার জন্য পোয়ালের পেছনে দিকে গিয়ে বল্ল মামা কেমন আছো বাগমা ঘুম থেকে উঠে যায় বলে ভাগনা আছি তো ভালোই কিন্তু একটু গরম লাগছে ভাগনা বলে তুমি তবে বেরিয়ে যাও বেরোবো রাস্তার সামনের দিকেই ছিল পেছনের দিকে ছিল না পেছনের দিকে হয়ে জঙ্গলের রাস্তা ছিল বাঘ মামা সামনে থেকে বেরোতে যায় দেখে যে প্রচুর লোকজন আছে হাতে মশারি নিয়ে জাল নিয়ে আর হাতে লাঠি নিয়ে সবাই আমাকে ঘেরা করে আছে আমার সেগুলো দেখে খুবই ভয়ে মনটা কেঁপে ওঠে কিন্তু বাঘ মামা চিন্তা করল ভাগনা তো আছে ,বাঘ মামা বল ভাগ্নে বলছি যে এত লোকজন আমাকে তো মেরে ফেলবে মনে হয় ভাগ্নে বলে নানা মামা তোমাকে মারবে না সামনের পুকুরে মাছ ধরবে ওরা মাছগুলো অনেক বড় হয়ে গেছে ওদের পরব তাই তুমি চিন্তা করো না তুমি বেরিয়ে যাও !
বাঘ মামা মনে মনে করে বেরিয়ে গেলেই ভালো হয় তখন এই গরমটা যা ছিল তার পাঁচ গুন বাড়িতে লাগলো বাঘ মামা ভাগ্নেকে বলল ভাগ্নে গরম লাগছে যে , শিয়াল ভাগনা মামা সূর্য তো মনে হয় সামনে এসে গেছে ভাগ্নে তুই কোথায় আছো তোরও তো মনে হয় গরম লাগছে না মামা আমার গরম লাগে নি আমি মাটি মাখিয়েছি তাই আমার গরম লাগেনি মামা বাঘ বলে ও তাই তোমারি গরম লাগছে না !
শিয়াল মনে মনে চিন্তা করে বাবা আজকে থেকেই আমি হবো বনের রাজা শালা খুব সাতিয়েছিল আমার আর চিন্তা নাই আজ নয়তো আগুনে পুড়ে মরবে, নয়তো লাঠি খেয়ে মরবে খুব মজা লাগছে বাঘ বলে ভাগনা আমাকে বাঁচাও ও ভাগ্নে আমাকে বাচা ভাগনা তখন আর কোন সাড়া দেইনা সে ওখান থেকে জঙ্গলের পালায় বাঘ মামা আদ পুড় হয়ে জীবনের জালায় বাইরে বেরিয়ে আসে তখনই গ্রামের লোকেরা জাল দিয়ে ধরে পরে যাদের যাদের বাড়িতে ঝগড়া হয় যাদের যাদের মুরগি হাঁস কমে গেছে তারা মনে খুশি লাঠি চালাই বাঘের গায়ে বাঘ মামা আদ পুড়ো হয়ে লাঠির চটে আর নেই লাঠি চটে মারা যায় বাঘ মামাকে জঙ্গলের দিকে গ্রামের লোকেরা ফেলে আসে তখনই শিয়াল দেখে পরে খুব আনন্দ করে এই ছিল আমাদের বাঘের আর শিয়ালের গল্প আছড়া গ্রামের গল্প পাশের বোনের জঙ্গল আর বোকা বাঘ চালাক শিয়ালের গল্প আমি জগৎপথে আমার নিজের ভাষায় লেখা কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন ভালো লাগলে অবশ্যই আরো গল্পগুলো পোড় বে।
পরবর্তী গল্প ➥