Skip to main content

ব্যঞ্জনবর্ণ ||ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ ত থ দ ধ ন প ফ ব ভ ম য র ল ব শ ষ স হ ড় ঢ় ୧য় ং : ঁ||ব্যাঞ্জন ধ্বনি কি ও কয়টি? দ্বিস্বর কাকে বলে | যৌগিক স্বরধ্বনি কাকে বলে | দ্বিস্বর বা যৌগিক স্বরধ্বনি কয়টি ও কী কী উদাহরণ দাও?

ব্যঞ্জনবর্ণ ||ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ ত থ দ ধ ন প ফ ব ভ ম য র ল ব শ ষ স হ ড় ঢ় ୧য় ং : ঁ||ব্যাঞ্জন ধ্বনি কি ও কয়টি? দ্বিস্বর কাকে বলে | যৌগিক স্বরধ্বনি কাকে বলে | দ্বিস্বর বা যৌগিক স্বরধ্বনি কয়টি ও কী কী উদাহরণ দাও?



ব্যঞ্জনবর্ণ : ব্যঞ্জনধ্বনির নির্দেশ করার জন্য যে বর্ন ব্যবহার করা হয় তাকে ব্যঞ্জনবর্ণ বলে যেমন - ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ ত থ দ ধ ন প ফ ব ভ ম য র ল ব শ ষ স হ ড় ঢ় ୧য় ং : ঁ



ক. কাকাতুয়ার মাথায় ঝুঁটি

ক. কাকাতুয়ার মাথায় ঝুঁটি


খ. খেঁকশিয়ালী পালায় ছুটি
খ. খেঁকশিয়ালী পালয় ছুটি


গ. গরু-বাছুর দাঁড়িয়ে আছে
গ. গরু বাছুর দাঁড়িয়ে আছে


ঘ. ঘুঘুপাখি ডাকছে গাছে
ঘ. ঘুঘুপাখি ডাকছে গাছে



ঙ. ঙ নৌকা, মাঝি ব্যাঙ
ঙ. ঙ নৌকা, মাঝি ব্যাঙ



চ. চিতাবাঘের সরু ঠ্যাঙ

চ. চিতাবাঘের সরু ঠ্যাঙ



ছ. ছাগল-ছানা লাফিয়ে চলে

ছ. ছাগল-ছানা লাফিয়ে চলে


জ. জাহাজ ভাসে সাগর-জলে

জ. জাহাজ ভাসে সাগর-জলে



ঝ. ঝাড়ু হাতে এল কানাই

ঝ. ঝাড়ু হাতে এল কানাই




ঞ. ঞ চ'ড়ে নাচছে দু ভাই

ঞ. ঞ চ'ড়ে নাচছে দু ভাই




ট. টিয়াপাখির ঠোঁটটি লাল

ট. টিয়াপাখির ঠোঁটটি লাল



ঠ. ঠাকুরদাদার শুকনো গাল



ড. ডুলি কাঁধে বেহারা যায়
ড. ডুলি কাঁধে বেহারা যায়




ঢ. ঢুলি-ভায়া ঢোলক বাজায়



ণ. (মূর্ধন্য ণ নাকের 'পরে
ণ. (মূর্ধন্য ণ নাকের 'পরে


ত. তিমি আপন শিকার ধরে

ত. তিমি আপন শিকার ধরে



থ. থালা ভরা আছে মিঠাই
থ. থালা ভরা আছে মিঠাই





দ. দোয়াত আছে, কালি নাই

দ. দোয়াত আছে, কালি নাই




ধ. ধোপা কেমন কাপড় কাচে

ধ. ধোপা কেমন কাপড় কাচে


ন. নাপিত-ভায়া দাড়ি চাঁচে

ন. নাপিত-ভায়া দাড়ি চাঁচে



প. পাখির বাসা হাওয়ায় নড়ে

প. পাখির বাসা হাওয়ায় নড়ে



ফ. ফোয়ারা হতে জল পড়ে
ফ. ফোয়ারা হতে জল পড়ে





ব. বুলবুলিটির মুখটি কাল
ফ. ফোয়ারা হতে জল পড়ে



ভ. ভালুক জানে বাসতে ভাল
ভ. ভালুক জানে বাসতে ভাল



ম. ময়ূর নাচে পেখম ধ'রে
ম. ময়ূর নাচে পেখম ধ'রে


য. যাঁতা ঘোরে হাতের জোরে
য. যাঁতা ঘোরে হাতের জোরে


র. রাজহাঁসটির গলা সরু

র. রাজহাঁসটির গলা সরু



ল. লাঠির চোটে পালায় গরু

ল. লাঠির চোটে পালায় গরু




ব. বাঘের যত সাহস চোখে
ব. বাঘের যত সাহস চোখে

শ. শকুন কাঁদে গরুর শোকে
শ. শকুন কাঁদে গরুর শোকে



ষ. ষাঁড় ছুটেছে পুকুরপাড়ে

ষ. ষাঁড় ছুটেছে পুকুরপাড়ে



স. সিংহ রাগে কেশর নাড়ে

স. সিংহ রাগে কেশর নাড়ে


হ. হাসিমুখটি দেখতে বেশ
হ. হাসিমুখটি দেখতে বেশ


ড়. ড়-এর দফা হল শেষ

ড়. ড়-এর দফা হল শেষ


ঢ়. ঢ়-এর মাথা কামড়ে খায়
ঢ়. ঢ়-এর মাথা কামড়ে খায়



ৎ. (খণ্ড) ৎ ঐ পুষির গায়ে
ৎ. (খণ্ড) ৎ ঐ পুষির গায়ে


য়. য় ছিল তাই গেল বেঁচে


য়. য় ছিল তাই গেল বেঁচে



ং. (অনুস্বার) ং-টি হারিয়ে গেছে
ং. (অনুস্বার) ং-টি হারিয়ে গেছে





                ঃ. (বিসর্গ) ঃ-এর ভঁড়ো পেট

ঃ. (বিসর্গ) ঃ-এর ভঁড়ো পেট


 

ঁ. (চন্দ্রবিন্দু) -র মাথা হেঁ
ঁ. (চন্দ্রবিন্দু) -র মাথা হেঁট

ব্যঞ্জনবর্ণ কাকে বলে?
যে সকল বর্ণ, অন্য কোনো বর্ণের সাহায্য ছাড়া নিজে নিজে উচ্চারিত হতে পারে না সেই সকল বর্ণকে ব্যাঞ্জন বর্ণ বলা হয়। বাংলা ভাষায় ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা 39 টি। সেগুলি হল:- ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ ত থ দ ধ ন প ফ ব ভ ম য র ল ব শ ষ স হ ড় ঢ় ୧য় ং : ঁ 


1. দ্বিস্বর কাকে বলে | যৌগিক স্বরধ্বনি কাকে বলে | দ্বিস্বর বা যৌগিক স্বরধ্বনি কয়টি ও কী কী উদাহরণ দাও?

কোনো ভাষার উচ্চারিত শব্দকে বিশ্লেষণ করলে যে উপাদানসমূহ পাওয়া যায় সেগুলোকে পৃথকভাবে ধ্বনি বলে। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত ধ্বনিগুলোকে প্রধানত দুভাগে ভাগ করা হয়।

১. স্বরধ্বনি
২. ব্যঞ্জনধ্বনি।

স্বরধ্বনিকে আবার অন্য দিক থেকে দুটি পৃথক শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন :-

১ মৌলিক স্বরধ্বনি ও

২ যৌগিক স্বরধ্বনি বা সন্ধ্যক্ষর বা দ্বিস্বর ধ্বনি।


যৌগিক স্বরধ্বনি বা দ্বিস্বর ধ্বনি কাকে বলে :-পাশাপাশি দুটি স্বরধ্বনি থাকলে দ্রুত উচ্চরণের সময় তা একটি সংযুক্ত স্বরধ্বনি রূপে উচ্চারিত হয় যা যৌগিক স্বরধ্বনি নামে পরিচিত।

অর্থাৎ একসঙ্গে উচ্চারিত দুটো মিলিত স্বরধ্বনিকে যৌগিক স্বর বা দ্বিস্বর ধ্বনি বলা হয়।



অথবা আমরা বলতে পারি যে ধ্বনিগুলোকে বিশ্লেষণ করা যায় তাদেরকে যৌগিক স্বরধ্বনি বলে।

যখন ভিন্ন দুটি বা তার অধিক স্বরধ্বনি একই সঙ্গে উচ্চারিত হয়ে একটি যুক্ত স্বরধ্বনির সৃষ্টি করে, তখন তাকে বলা হয় যৌগিক স্বরধ্বনি বা সন্ধ্যক্ষর।


আরও পড়ুন :- ব্যাঞ্জন ধ্বনি কি ও কয়টি?

যেমন- ঐ (অ-ই), ঔ (অ-উ)।

যৌগিক স্বরধ্বনি কয়টি ও কী কী :-দ্বি-স্বরে দুটি স্বর থাকে একটি পূর্ণ, আর একটি অপূর্ণ। বাংলায় পরের স্বরটিই সাধারণত অর্ধ হয়। বাংলা ভাষায় ২৫টি যৌগিক স্বরধ্বনি রয়েছে। বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বরজ্ঞাপক দুটো বর্ণ রয়েছে। ঐ এবং ঔ। উদাহরণ : কৈ, বৌ। অন্য যৌগিক স্বরের চিহ্ন স্বরূপ কোনো বর্ণ নেই।

যেমন - ঐ (অ + ই বা ও + ই), ঔ (অ + উ বা ও + উ)।

ভাষাবিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এই ধরনের আরও অনেক যৌগিক স্বরধ্বনির সন্ধান দিয়েছেন।

যেমন :-


দুই স্বরের সাহায্যে যৌগিক স্বরধ্বনি -

অও (কও = ক্+অও); আও (বাঁচাও = বাঁচ্ + আও); আই (পাই = প্ + আই); অ্যাও (ম্যাও = ম্ + অ্যাও); এই (নই = ন + এই ); এউ (কেউ = ক + এউ); এও (বলেও = বল + এও); ওউ (বউ = ব্ + ওউ) প্রভৃতি।

তিনটি স্বরধ্বনির সাহায্যে যৌগিক স্বরধ্বনি -

অওআ (লওয়া = ল্ + অওআ); ইএও (গিয়েও = গ্ + ইএও); আইআ (লাফাইয়া = লাফ্ + আইআ)।

চারটি স্বরধ্বনির সাহায্যে যৌগিক স্বরধ্বনি -

আইআও (বানাইয়াও = বান্ + আইআও)।


আরও পড়ুন :- মূর্ধন্য ধ্বনি বলতে কী বোঝায়

পাঁচটি স্বরধ্বনির সমবায়ে যৌগিক স্বরধ্বনি -

আওআইআ (খাওয়াইয়া = খ + আওআইআ)।

ছয়টি স্বরধ্বনির সমবায়ে যৌগিক স্বরধ্বনি -

আওআইআও (খাওয়াইয়াও = খ + আওআইআও)।

কিন্তু উপরে বর্ণিত সকল যৌগিক স্বরধ্বনির জন্য পৃথক কোনো যৌগিক স্বরবর্ণ নেই। কেবলমাত্র দুটি যৌগিক স্বরধ্বনির জন্য দুটি যৌগিক স্বরবর্ণ (লিখিত রূপ) আছে। সেই দুটি যৌগিক স্বরবর্ণ হল ঐ এবং ঔ। ঐগুলিকে সন্ধ্যক্ষর বা দ্বি-স্বর ও বলা হয!

ব্যঞ্জনবর্ণ বাংলা ভাষায় সংখ্যা মোট ৩৯টি। 

ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ ত থ দ ধ ন প ফ ব ভ ম য র ল ব শ ষ স হ ড় ঢ় ୧য় ং : ঁ

 আরো জানতে এখানে টাচ করুন



Popular posts from this blog

কম্পিউটারের প্রধান প্রধান ইনপুট ডিভাইসগুলি কি কি?কম্পিউটারের প্রধান প্রধান আউটপুট ডিভাইস গুলি কি কি ?কম্পিউটারের প্রধান প্রধান ইনপুট ডিভাইস : কী-বোর্ড, মাউস, জয়স্টিক এবং লাইট পেন/কম্পিউটারের প্রধান প্রধান আউটপুট ডিভাইস : মনিটর, প্রিন্টার, প্লটার এবং সাউন্ড বক্স//কম্পিউটার আউটপুট ডিভাইস//কম্পিউটার ইনপুট ডিভাইস

কম্পিউটারের প্রধান প্রধান ইনপুট ডিভাইসগুলি  কি কি?কম্পিউটারের প্রধান প্রধান আউটপুট ডিভাইস গুলি কি কি ? • কম্পিউটারের প্রধান প্রধান ইনপুট ডিভাইস : কী-বোর্ড, মাউস, জয়স্টিক এবং লাইট পেন • কম্পিউটারের প্রধান প্রধান আউটপুট ডিভাইস : মনিটর, প্রিন্টার, প্লটার এবং সাউন্ড বক্স কম্পিউটারের প্রধান প্রধান ইনপুট ডিভাইসগুলি হল : 1. কী- বোর্ড, 2. মাউস, 3. জয়স্টিক, 4. লাইট পেন ইত্যাদি। কম্পিউটারের প্রধান প্রধান ইনপুট ডিভাইসগুলি হল কী-বোর্ড কী-বোর্ড : কী-বোর্ড হল কম্পিউটারের প্রধান ইনপুট ডিভাইস। কী-বোর্ডের মাধ্যমে কম্পিউটারে বিভিন্ন তথ্য বা নির্দেশ পাঠানো যায়। এক-একটি কী-বোর্ডে কী-এর সংখ্যা এক একরকম হয়। তবে বর্তমানে সাধারণত কী-বোর্ডে ১০৫টি থেকে ১১২টি কী থাকে। কী-বোর্ডটি দেখতে অনেকটা টাইপ রাইটারের মতো এবং এর কী-গুলিও টাইপ রাইটারের মতো সাজানো থাকে। তবে কী-বোর্ডে অনেক অতিরিক্ত কী থাকে যেগুলি কম্পিউটারকে বিশেষ বিশেষ নির্দেশ দিতে ব্যবহার করা হয়। কী-বোর্ডে ইংরেজি বর্ণ, সংখ্যা, বিভিন্ন প্রকার চিহ্ন ও সংকেত মুদ্রিত থাকে। আমরা এগুলি টিপে (Press করে) কম্পিউটারকে নির্দেশ দিতে পারি। কী-বোর্ডের বৈশিষ্ট্য : ...

India's iconic Taj Mahal 2023

India's iconic Taj Mahal  2023 Exceptional Widespread Worth Brief amalgamation The Taj Mahal is situated on the right bank of the Yamuna Stream in a huge Mughal garden that envelops almost 17 hectares, in the Agra Region in Uttar Pradesh. It was worked by Mughal Sovereign Shah Jahan in memory of his better half Mumtaz Mahal with development beginning in 1632 Promotion and finished in 1648 Advertisement, with the mosque, the visitor house and the primary door on the south, the external patio and its groups were added in this manner and finished in 1653 Advertisement. The presence of a few verifiable and Quaranic engravings in Arabic content have worked with setting the sequence of Taj Mahal. For      its development, bricklayers, stone-cutters, inlayers, carvers, painters, calligraphers, vault manufacturers and different craftsmans were demanded from the entire of the domain and furthermore from the Focal Asia and Iran. Ustad-Ahmad Lahori was the fundamental engineer ...

বাংলা কবিতা খাই খাই- সুকুমার রায়||খাই কর কেন, এসো বসো আহারে- খাওয়াব আজব খাওয়া, ভোজ কয় যাহারে। যত কিছু খাওয়া লেখে বাঙালির ভাষাতে, জড় করে আনি সব, – থাক সেই আশাতে। ডাল-ভাত তরকারি ফলমূল শস্য, আমিষ ও নিরামিষ, চর্ব্য ও চোষ্য, -

বাংলা কবিতা খাই খাই- সুকুমার রায়||খাই কর কেন, এসো বসো আহারে- খাওয়াব আজব খাওয়া, ভোজ কয় যাহারে। যত কিছু খাওয়া লেখে বাঙালির ভাষাতে, জড় করে আনি সব, – থাক সেই আশাতে। ডাল-ভাত তরকারি ফলমূল শস্য, আমিষ ও নিরামিষ, চর্ব্য ও চোষ্য, - বাংলা কবিতা খাই খাই- সুকুমার রায় খাই খাই -  - সুকুমার রায় [ লেখক পরিচিতি- সুকুমার রায় : ১৮৭৭ খ্রিঃ ৩০ অক্টোবর কলকাতায় সুকুমার রায়ের জন্ম। পিতা উপেন্দ্রকিশোর রায় এবং মাতা বিধুমুখী দেবী পিতা উপেন্দ্রকিশোরের সম্পাদনায় মাসিক 'সন্দেশ' পত্রিকায় লেখা শুরু। পিতার মৃত্যুর পর পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব নেন এবং অসংখ্য কবিতা প্রকাশ করেন। ছবি আঁকতেও তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। ‘আবোল-তাবোল', 'খাই-খাই, পাগলা দাশু, বহুরূপী, হ-য-ব-র-ল প্রভৃতি অনেক কবিতা ও গল্পের বই প্রকাশিত হয়। ১৯২৩ খ্রিঃ ২০ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। বিশ্ববিশ্রুত সত্যজিৎ রায়) তাঁরই পুত্র। ] খাই কর কেন, এসো বসো আহারে- খাওয়াব আজব খাওয়া, ভোজ কয় যাহারে। যত কিছু খাওয়া লেখে বাঙালির ভাষাতে, জড় করে আনি সব, – থাক সেই আশাতে। ডাল-ভাত তরকারি ফলমূল শস্য, আমিষ ও নিরামিষ, চর্ব্য ও চোষ্য, - ...