রাখাল ছেলে||রাখাল ছেলে - জসিমুদ্দিন||জসীম উদ্দীন রাখাল ছেলে||জসীম উদ্দীন রাখাল ছেলে "রাখাল ছেলে। রাখাল ছেলে! ধারেক ফিরে চাও, বাঁকা গাঁয়ের পথটি বেয়ে|| বাচ্চাদের বাংলা কবিতা||রাখাল ছেলে, রাখাল ছেলে, বারেক ফিরে চাও। বাঁকা গাঁয়ের পথটি বেয়ে কোথায় চলে যাও ?” “ওই য়ে দূরে মাঠের পারে সবুজ ঘেরা গাঁ, কলার পাতায় দোলায় চামর, শিশির ধোয়ায় পা, সেথায় আছে ছোট্ট কুটির সোনার পাতায় ছাওয়া, সাঁঝ আকাশে
রাখাল ছেলে||রাখাল ছেলে - জসিমুদ্দিন||জসীম উদ্দীন রাখাল ছেলে||বাচ্চাদের বাংলা কবিতা||রাখাল ছেলে, রাখাল ছেলে, বারেক ফিরে চাও। বাঁকা গাঁয়ের পথটি বেয়ে কোথায় চলে যাও ?” “ওই য়ে দূরে মাঠের পারে সবুজ ঘেরা গাঁ, কলার পাতায় দোলায় চামর, শিশির ধোয়ায় পা, সেথায় আছে ছোট্ট কুটির সোনার পাতায় ছাওয়া, সাঁঝ আকাশে
রাখাল ছেলে
- জসিমুদ্দিন
কবি পরিচিতি : জসিমুদ্দিন : ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে ফরিদপুর (বর্তমান বাংলাদেশ) জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ‘বালুচর', ‘ধান ক্ষেত', 'রাখালী', 'নক্সী’ কাঁথার মাঠে প্রভৃতি তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ।
“রাখাল ছেলে, রাখাল ছেলে, বারেক ফিরে চাও।
বাঁকা গাঁয়ের পথটি বেয়ে কোথায় চলে যাও ?”
“ওই য়ে দূরে মাঠের পারে সবুজ ঘেরা গাঁ,
কলার পাতায় দোলায় চামর, শিশির ধোয়ায় পা, সেথায় আছে ছোট্ট কুটির সোনার পাতায় ছাওয়া, সাঁঝ আকাশে ছড়িয়ে পড়া, আবীর রঙে নাওয়া, সেই ঘরেতে একলা বসে ডাকছে আমার মা, সেথায় যাব, ও ভাই এবার, আমায় ছাড় না ।” “রাখাল ছেলে, রাখাল ছেলে, আবার কোথা যাও ? দূর আকাশে ছাড়ল সবে রঙীন মেঘের আও “ঘুম হতে আজ জেগেই দেখি শিশির-ঝরা ঘাসে, সারা রাতের স্বপ্ন আমার মিঠেল রোদে হাসে।
জসীম উদ্দীন
রাখাল ছেলে
"রাখাল ছেলে। রাখাল ছেলে! ধারেক ফিরে চাও, বাঁকা গাঁয়ের পথটি বেয়ে কোথায় চলে যাও?”ওই যে দেখ নীল-নোয়ান সবুজ ঘেরা গাঁ, কলার পাতা দোলায় চামর শিশির ধোয়ায় পা, সেথায় আছে ছোট্ট কুটির সোনার পাতায় ছাওয়া, সাঁঝ-আকাশের ছড়িয়ে-পড়া আবীর-রঙে নাওয়া; সেই ঘরেতে একলা বসে ডাকছে আমার মা- সেথায় যাব, ও ভাই এবার আমায় ছাড় না !”
“রাখাল ছেলে! রাখাল ছেলে! আবার কোথা ধাও, পুব আকাশে ছাড়ল সবে রঙিন মেঘের নাও । ”
“ঘুম হতে আজ জেগেই দেখি শিশির-ঝরা ঘাসে, সারা রাতের স্বপন আমার মিঠেল রোদে হাসে। আমার সাথে করতো খেলা প্রভাত হাওয়া, ভাই, সরষে ফুলের পাপড়ি নাড়ি ডাকছে মোরে তাই । চলতে পথে মটরশুঁটি জড়িয়ে দুখান পা, বলছে ডেকে, 'গাঁয়ের রাখাল একটু খেলে যা!' সারা মাঠের ডাক এসেছে, খেলতে হবে ভাই! সাঁঝের বেলা কইব কথা এখন তবে যাই !”
“রাখাল ছেলে! রাখাল ছেলে! সারাটা দিন খেলা, এ যে বড় বাড়াবাড়ি, কাজ আছে যে মেলা।”
“কাজের কথা জানিনে ভাই, লাঙল দিয়ে খেলি নিড়িয়ে দেই ধানের ক্ষেতের সবুজ রঙের চেলী । সরষে বালা নুইয়ে গলা হলদে হাওয়ার সুখে মটর বোনের ঘোমটা খুলে চুমু দিয়ে যায় মুখে ! ঝাউয়ের ঝাড়ে বাজায় বাঁশী পউষ-পাগল বুড়ী, আমরা সেথা চষতে লাঙল মুর্শীদা-গান জুড়ি । খেলা মোদের গান গাওয়া ভাই, খেলা-লাঙল চষা, সারাটা দিন খেলতে জানি, জানিই নেক বসা। "